হৃদযন্ত্রের কথা
পৃথিবীতে মানুষ ও অন্যান্য উচ্চশেণির প্রানীদের
দেহে যেসব তন্ত্র আছে, তার মধ্যে রক্ত সংবহনতন্ত্র উল্লেখযোগ্য। কারন, এই তন্ত্রের
মাধ্যমে দেহের যাবতীয় বিপাকীয় কাজের রসদ সারা শরীরে পবাহিত হয়।
রক্ত সংবহনতন্ত্র
গঠিত হয়েছে রক্ত, হৃদপিন্ড, রক্তবাহিকা নিয়ে । হৃদপিন্ড হচ্ছে হৃদপেশি দিয়ে তৈরি
করা ত্রিকোণাকার ফাঁপা প্রকোষ্ঠযুক্ত পাম্পের মত একটি অঙ্গ। এর সংকোচন এবং
প্রসারনের ফলে সারা দেহে রক্ত সরবরাহিত হয়। আকার আকৃতি ও কাজের ভিত্তিতে রক্ত
বাহিকা তিন রকম—(১) ধমনি (২) শিরা (৩) কৈশিক জালিকা।রক্ত
রক্তবাহিকার ভেতর দিয়ে সঞ্চালনের জন্য হৃদপিন্ড মানব ও অন্য সকল প্রাণীদেহে
পাম্পের মত কাজ করে। ধমনি দিয়ে অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্ত হৃদপিন্ড থেকে সারা দেহে
বাহিত হয়। সাধারনত কার্বন ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত দেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে শিরার
মাধ্যমে হৃদপিন্ডে ফিরে আসে। ধমনি ও শিরা সংযোগস্থল জালিকাকারে বিন্যস্ত হয়ে কৈশিক
জালিকা গঠন করে।
![]() |
হৃদযন্ত্র |
রক্তরস বা প্লাজমা
রক্তের তরল অংশকে প্লাজমা বলে। রকোতর প্রায়
৯০% পানি, বাকি ১০% দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে বিভিন্ন রকমের জৈব এবং অজৈব পদার্থ।
অজৈব পদার্থ গুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থের যেমন আয়রন, সোডিয়াম,
পটাশিয়াম, ক্যাসিয়াম, ক্লোরিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, লৌহ, আয়োডিন, O2, CO2 এবং N2 জাতীয় গ্যাসীয় পদার্থ ।
![]() |
Plasma |
জৈব
পদার্থ গুলো হলো :
(১) খাদ্যসার : গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড,
স্নেহ পদার্থ,
ভিটামিন ইত্যাদি।
(২) রেচন পদার্থ : ইউরিয়া, ইউরিক এসিড,
অ্যামিনিয়া,ক্রিয়েটিনিন ইত্যাদি।
(৩) প্রোটিন : ফাইব্রিনোজেন,গ্লোবিউলিন,
অ্যালবুমিন,প্রোথ্রম্বিন ইত্যাদি।
(৪) অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির নিঃসৃত বিভিন্ন
হরমোন।
(৫) কোলেস্টেরল,লেসিথিন,বিলিরুবিন ইত্যাদি
নানা
ধরনের যৌগ।
No comments