Header Ads

ফলের তৈরি জুসে কি নষ্ট হয়ে যায় পুষ্টি উপাদান!

fruit juice 
তাজা ফল কিংবা সবজি থেকে জুস বানানো হলে সেই জুসে ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ঘনীভূত অবস্থায় থাকে। এভাবে অনেকেই সরাসরি ফল না খেয়ে জুসের মাধ্যমে ফলের উপকারী উপাদান গ্রহণ করেন। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এইভাবে ফল থেকে জুস বানানোর কারণে ফলে থাকা অনেক উপকারী এবং স্বাস্থ্যকর আঁশ হারিয়ে যায়।
মেডিসিন ডায়েটিশিয়ান এবং একাডেমি অব নিউট্রিশন এন্ড ডায়েটেটিকসের মুখপাত্র রবিন ফরোউতান বলেন, এইভাবে জুসের মাধ্যমে পুষ্টি উপাদান গ্রহণে ফলের উপকারী অনেক আঁশ বাদ পড়ে যায়। এতে করে হঠাৎ রক্তে চিনির পরিমাণ নাটকীয়ভাবে বেড়ে যেতে পারে।
নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির ফুড বায়োপ্রসেসিং এন্ড পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মারিও জি ফেরাজ্জি বলেন, ফলের এসব উপকারী আঁশ বাদ পড়ে যাওয়ার কারণে ফলে থাকা কিছু পলিফেনল এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থেকেও আমরা বঞ্চিত হই। বাড়িতে ফল-মূল কিংবা সবজি থেকে জুস বানাতে গেলে এই ঘটনাটিই ঘটে। তাই এভাবে ফল থেকে জুস না তৈরি করে সরাসরি ফল খাওয়াটাই উত্তম।

আর যদি একান্তই জুস করে ফল খেতে হয় তাহলে তা অবশ্যই জুস বানানোর সাথে সাথে পান করা উচিত। এভাবে জুস করে সাথে সাথে পান করতে পারলে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং এনজাইমের কার্যকারিতা ঠিক থাকে। এই জুস যদি পরে খাওয়ার পরিকল্পনা থাকে তাহলে তা অবশ্যই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফ্রিজে তুলে রাখতে হবে। কারণ জুস বানিয়ে দীর্ঘক্ষণ বাইরে ফেলে রাখলে এনজাইম এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যায়।
এর বাইরে আরো একটি কৌশলের কথা বলেছেন তারা। সেটি হলো জুস বানানোর পরে নতুন করে ফলের মধ্যে কিছু আঁশ যোগ করে নেওয়া। আর ফল থেকে জুস বানানোর জন্য জুসারের বদলে ফুড প্রসেসর কিংবা ব্লেন্ডারের মতো যন্ত্র ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ব্লেন্ডারের মাধ্যমে ফল কিংবা সবজি থেকে জুস বানানো হলে তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণ এনজাইম এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট অক্ষুণ্ণ থাকে।
যদিও আপেল, নাশপাতি এবং মান্ডারিন কমলা থেকে জুস বানানো হলে তুলনামূলকভাবে ভালো পরিমাণ ভিটামিন সিপাওয়া সম্ভব। তবে অন্য একটি গবেষণার ফলাফলের বরাত দিয়ে গবেষকরা বলেছেন, ওজন কমানোর জন্য সরাসরি ফল খাওয়া যতটা কার্যকরী, জুসের ক্ষেত্রে ততটা নয়।-সিএনএন

No comments

Powered by Blogger.